কম্পিউটার এবং ইলেকট্রনিক দ্রব্যাদির উন্নতি ও আধুনিকায়নের সাথে সাথে ব্যাংকিং ব্যবসায়ে ও বিভিন্ন রকমের ইলেকট্রনিক পণ্যের আবির্ভাব ঘটে। আধুনিক বিশ্বের তালে তালে বাংলাদেশও ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং ক্ষেত্রে বেশ অগ্রসর হয়েছে। এই সেবার ক্ষেত্রে ২৪ ঘন্টা ব্যাংকিং সেবা পাওয়ার সুযোগ থাকে। এবার আমরা ইলেক্ট্রনিক ব্যাংকিং সেবায় কিছু পণ্যের সাথে পরিচিত হব।
১) ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড
২) এটিএম
৩) মোবাইল ব্যাংকিং
৪) এসএমএস ব্যাংকিং
৫) ইন্টারনেট ব্যাংকিং
৬) এনি ব্রাঞ্চ ব্যাংকিং/অনলাইন ব্যাংকিং
৭) কল সেন্টার
এটা একধরনের ইলেকট্রনিক প্লাস্টিক কার্ড, যা ব্যাংক তার গ্রাহকের জন্য ইস্যু করে থাকে। এই কার্ডের মাধ্যমে নগদ টাকা ছাড়াই গ্রাহক কেনা-কাটা করতে পারে এবং প্রয়োজনে এটিএম মেশিন থেকে নগদ টাকা উত্তোলন করতে পারে। ব্যাংকের হিসাবে টাকা থাকা সাপেক্ষে এই ডেবিট কার্ড ব্যবহার করা যায়। ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ডের মধ্যে প্রধান পার্থক্য এই যে, নিজের হিসাবে জমা থাকলেই কেবল ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে দোকান থেকে কেনা-কাটা করা যায়। কিন্তু হিসাবে জমা না থাকলেও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বাকিতে মালামাল ক্রয় করার সুযোগ থাকে। ক্রেডিট কার্ড একধরনের ব্যক্তিগত ঋণ, যা নির্দিষ্ট সময়ান্তে গ্রাহককে সুদসহ পরিশোধ করতে হয়। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকে হিসাব থাকার বাধ্যবাধকতা নেই।
এটিএম (Automated Teller Machine) একধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্র, যার মাধ্যমে গ্রাহক ব্যাংকের কর্মচারীর উপস্থিতি ছাড়া প্রাথমিক কিছু লেনদেন করতে পারে । যেমন : টাকা উত্তোলন, হিসাবের বিবরণী, টাকা বা চেক জমা ইত্যাদি । সুতরাং ১০-৫টা অফিস টাইমের বাইরের সময়েও এই মেশিনের মাধ্যমে নগদ টাকা উত্তোলন করা যায়।
টেলিফোন ব্যাংকি একধরনের ব্যাংকিং সেবা, যার মাধ্যমে গ্রাহক ব্যাংকি লেনদেন ফোনের মাধ্যমে সম্পন্ন করে থাকে। এক্ষেত্রে গ্রাহকের পরিচয় সত্যতা পাওয়ার পর এধরনের সেবা দেওয়া হয়।
মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকি- সেবা প্রদান করাকে এসএমএস ব্যাংকি বলে। যেমন: হিসাবের স্থিতি, চেকবইয়ের জন্য অনুরোধ ইত্যাদি।
ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহক ব্যাংকের একটি নিরাপদ ওয়েব- সাইট নাম এবং পাসওয়ার্ড দ্বারা নিবন্ধিত হয়ে থাকে। যথাযথ তথ্য প্রদানের পর গ্রাহক পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে যেকোনো সময় তার হিসাবের বিবরণী, তহবিল স্থানান্তর, বিল প্রদানসহ অন্যান্য লেনদেন ইন্টারনেটের মাধ্যমে করতে পারে।
এর মাধ্যমে গ্রাহক এক জায়গায় অথবা একটি শাখায় হিসাব খুলে দেশের অন্য যেকোনো শাখায় তার লেনদেন করতে পারে। যেমন: ঢাকার ধানমন্ডিতে ব্যাংকের শাখায় হিসাব খুলে চট্টগ্রামে ব্যাংকের যেকোনো শাখায় লেনদেন করতে পারে।